Header Ads Widget

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রাথমিক ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রতিকার

ডেঙ্গু আমাদের দেশে একটি অ্যান্ত বিপদ জনক রোগ,  আর এটি মুলত একটি ভাইরাস আর এই ভাইরাসটি এডিস নামক এক ধরনের মশা থেকে আসে, এই মশাগুলো কামড়ালে ভাইরাসটি শরিরে প্রবেশ করে।

জ্বর স্বাধারনত সব বড় ধরনের রোগের সতর্কবার্তার মতো দেখা যায়।  মানে বড় ধরনের রোগ হলে তার সাথে জ্বরের দেখা মেলে। এক কথায় এটাকে সংকেত ও বলা যায়। যা রোগ আসার আগে বিভিন্ন সংকেত দিয়ে থাকে।

আর, ডেঙ্গু একটি বড় ধরনের জীবন নাশক রোগ বা ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে , আর সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে, জীবন অনায়াশে ই ঝড়ে যেতে পারে।

তবে সব রোগের ই কিছু সংকেত থাকে, ডেঙ্গু রোগের ও কিছু সংকেত আছে, যদিও এর মধ্যে অন্যতম ই হলো জ্বর।  তবে জ্বর হওয়া মানেই যে ডেঙ্গু , বিষয়টি তেমন নয়। তাই কোন ধরনের জ্বর বা আরো কি কি লক্ষন আছে এই ডেঙ্গু রোগের , সেই তালিকা দেওয়া হলো।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রাথমিক ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রতিকার


ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন এর তালিকা

  • ১০১ থেকে ১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর দেখা যেতে পারে।
  • জ্বর ওঠা নামা করতে পারে। বা এক ভাবেও দেখা যেতে পারে।
  • শরির তেমন গড়ম না হয়ে ও ভেতরগত ভাবে জর থাকতে পারে।
  • বার বার ঘামিয়ে ঘামিয়ে জ্বর চলে গিয়ে আবার আসতে পারে।
  • শরীর, মাথা , গলা, চোখের ভিতরের দিকে ব্যাথা সহ চোখ জ্বালা পোড়া হতে পারে।
  • চামড়ার ওপরে লাল বা সাভাবিক দাগ দেখা যেতে পারে।
  • শরির ঠান্ডা হওয়া বা শীত লাগা
  • শরেরিক ভাবে, দুর্বলতা অনুভব করা।
  • অনেক ক্ষেত্রে প্রচুর পেট ব্যাথা হয়।
  • পেট ফুলে যায় আবার বমির সাথে রক্ত পরে।
  • ইত্যাদি লক্ষন রয়েছে।
উপরক্ত লক্ষনগুলো দেখা দিলে , দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।  নিচের অংশে ঘরয়া বা প্রাথমিক চিকিৎসা সমন্দে বলা থাকবে,  তবে রোগ বাড়ার লক্ষন দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিবেন।

ডেঙ্গু রোগীদের খাবার সমন্ধে আমাদের আগামী পোস্ট, দেখুন.... ফলো করে রাখুন।


ডিঙ্গু জরের প্রাথমিক বা ঘরোয়া চিকিৎসার তালিকা

ডেঙ্গু জরকে সাধারন ভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৩ ভাবে বিভক্ত করেছে। প্রথম "A" দ্বিতীয় "B" সব শেষ "C" ।

A গ্রুপের রোগী

প্রথমত এ গ্রুপের রোগীদের জন্য হাসপাতালে যাওয়ার তেমন প্রয়োজন হয় না। এ গ্রুপ বলতে, যারা তেমন বেশি দুর্বল হয় নাই, এবং সামান্য জর। আর সবকিছু সাভাবিক আছে, যদিও জরটি ডেঙ্গু ভাইরাসের কারনেই আসঠছে।

রোগী সেটি বুঝতে পারলেও সমস্যা নেই, যদি সময়ের সাথে সব কিছু ঠিক থাকে। কিন্তু অসুস্থ হতে দেখলেই অতি দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।


গ্রুপের রোগী

এই গ্রুপের রোগীদের সারেরিক শক্তি বা অন্যান্য বিষয়ে লক্ষ করতে হবে। প্রয়োজন বোধ করলে বা সময়ের সাথে দুর্বল হতে দেখলে হাসপাতালে নিতে হবে।

বিশেষ করে, পেট ব্যাথা , ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা লিভারের সমস্য়া ইত্যাদি রোগ থাকলে ভালো ব্যাবস্থা নিতে হবে।

C গ্রুপের রোগী


এটি শেষ এবং ভয়ঙ্কর শ্রেনির রোগী। একটা ভুল বা অবহেলার জন্য একটা জীবনের সিমান্ত এসে যেতে পারে।  তাই আগেই সচেতন হন। ডেঙ্গু মৃত্যুময় রোগ। আর রোগের সাথে আপোশ চলে না।

তাই, যদি অনেক বেশি জর, মাথাব্যাথা, বমি, দুর্বলতা দেখা যায়, তাহলে অতিদ্রুত হাসপাতালে যান, আর সঠিক চিকিৎসা নিন। 


প্রাথমিক ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রতিকার

  • বেশি বেশি পানি পান করুন।
  • বেশি করে বিশ্রাম নিন।
  • তরল জাতিয় খাবার খান।
  • ফলের জুজ বা এনার্জি জাতিয় খাবার খান।
  • প্রাথমিক ভাবে শুধু প্যারাসিটামল খাবেন, অন্য কোন জরের ওষুধ ডাক্তারের পরমর্ষ ছাড়া খাবেন না।
  • কোন ধরনের ব্যাথা নাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শেবন করবেন না।
  • বেশি সমস্যায় হাসপাতালে যান।

আমরা আমাদের সাইটে সর্বদাই প্রয়োজনিয় সকল বিষয় শেয়ার করে থাকি, তাই এখনি ফলো দিয়ে রাখুন।

Post a Comment

0 Comments